ট্রাম্প দাবি করেন যে তিনি সাতটি ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। যদিও এর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, তবুও তিনি বিশ্বনেতাদের সামনে বলেন যে এই সাফল্যগুলোই তার নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা প্রমাণ করে। একইসাথে, এটি জাতিসংঘের অকার্যকারিতাও স্পষ্ট করে।
ট্রাম্প বলেন, “দুঃখের বিষয়, এসব কাজ আমাকে করতে হলো, অথচ জাতিসংঘ কিছুই করলো না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কোনো ক্ষেত্রেই সংস্থাটি সহায়তা করার চেষ্টা পর্যন্ত করেনি।”
তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে তিনি একবার ভাঙা লিফট (এসকেলেটর) ও নষ্ট টেলিপ্রম্পটারের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ট্রাম্পের ভাষায়, “জাতিসংঘ থেকে আমি শুধু দু’টি জিনিসই পেয়েছি—একটি হচ্ছে খারাপ এসকেলেটর আর আরেকটি টেলিপ্রম্পটার।”
তিনি আরও বলেন, “তখন এটি নিয়ে ভাবার সময় পাইনি, কারণ আমি লাখো প্রাণ বাঁচাতে আর যুদ্ধ থামাতে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু পরে বুঝেছি, জাতিসংঘ আমাদের জন্য ছিল না।”
জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্রাম্প বলেন, “যদি এমনটাই হয়, তবে জাতিসংঘের উদ্দেশ্য আসলে কী? জাতিসংঘের অসাধারণ সম্ভাবনা ছিল, কিন্তু সংস্থাটি এর ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি। এখন যা করছে তা হলো কঠোর ভাষায় চিঠি লেখা—তারপর আর কোনো পদক্ষেপই নেয় না।” সূত্র: আল-জাজিরা