ব্যালট নম্বর ৩২ নিয়ে আলোচনায়: অভিনব প্রচারে ডাকসু প্রার্থী ঢাবি শিক্ষার্থী রাফিয়া

ক্যাম্পাস

ভোরের দূত ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী উম্মা উসওয়াতুন রাফিয়া তার অভিনব প্রচারণার কৌশল এবং দুটি সুনির্দিষ্ট ইশতেহার নিয়ে সবার নজর কেড়েছেন। আইন বিভাগের এই শিক্ষার্থী, যিনি রাফিয়া খন্দকার নামে পরিচিত, জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের পর এবার ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গত ১৯ আগস্ট প্রার্থিতা ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন থেকে তিনি পেয়েছেন ব্যালট নম্বর ৩২। রাফিয়া তার এই নম্বরটিকে সৃজনশীল প্রচারণার কাজে লাগিয়েছেন। তিনি তার ফেসবুকে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করে লেখেন, ‘ধানমন্ডি ৩২ মন্দ হলেও ডাকসু সদস্যপদের ৩২ নং ব্যালট কিন্তু একেবারেই উল্টো। কাজে কাজেই সুতরাং- ৯ তারিখ সারাদিন, ৩২-এ ভোট দিন!’ এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

দুটি ইশতেহার নিয়ে প্রতিশ্রুতির বার্তা
রাফিয়া এক পোস্টে জানান, তার কোনো সুদীর্ঘ ইশতেহারের তালিকা নেই, বরং দুটি প্রধান বিষয়ে তিনি বিশেষভাবে কাজ করতে চান। নির্বাচিত হলে তিনি এই দুটি ইশতেহার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

১. শিক্ষক মূল্যায়নের পদ্ধতি চালু: রাফিয়া জানান, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে শিক্ষক মূল্যায়নের একটি গোপন পদ্ধতি চালু করতে কাজ করবেন। এই সিস্টেমে শিক্ষার্থীরা প্রতি সেমিস্টার বা ইয়ার ফাইনালের আগে একটি বিশেষ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষকদের মূল্যায়ন করতে পারবে। এর ফলে শিক্ষকের মান উন্নয়ন সম্ভব হবে এবং এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি কার্যকর পদক্ষেপ হবে।

২. অভিযোগ নিষ্পত্তির ট্রাইব্যুনালকে জবাবদিহির আওতায় আনা: বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অভিযোগের তদন্তের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালের ধীরগতি নিয়েও তিনি কথা বলেন। রাফিয়া বলেন, অনেক অভিযোগের তদন্ত বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকে, যার কোনো সুরাহা হয় না। তিনি এই সমস্যার সমাধানে ট্রাইব্যুনালগুলোকে সিনেটে নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিদের কাছে জবাবদিহি করার ব্যবস্থা করতে চান। এর মাধ্যমে অভিযোগের অবস্থা, নিষ্পত্তির সময়সীমা এবং অগ্রগতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে।

রাফিয়া মনে করেন, তার এই দুটি ইশতেহার হয়তো দেখতে সাধারণ মনে হতে পারে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তিনি আরও জানান যে, শিক্ষার্থীরা যাতে সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের প্রত্যাশার কথা জানাতে পারে, সেজন্য তিনি ইতিমধ্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *