১২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলো সাদিক অ্যাগ্রোর ‘উচ্চ বংশীয়’ গরুর মাংস

জাতীয়

ভোরের দূত ডেস্ক: আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর ‘উচ্চ বংশীয়’ ব্রাহমা জাতের গরু নিলামে বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁওয়ের খলিল গোস্ত বিতানে এই গরুর মাংস ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়।

খলিল গোস্ত বিতানের মালিক খলিলুর রহমান জানান, ১১ জন নিলামে অংশ নিয়েছিলেন এবং তিনি নিলামের মাধ্যমে পাঁচটি ব্রাহমা জাতের গরু কিনেছেন। তিনি বলেন, “জনসমক্ষে মাংস কেটে এখন বিক্রি করছি। বিক্রিতে মানুষের ভালো সাড়া পাচ্ছি। উচ্চ মূল্যের এ গরুর মাংস কম মূল্যে বিক্রি করছি যাতে সাধারণ মানুষ খেতে পারে।”

একজন ক্রেতা বলেন, তিনি গরু, মহিষ ও খাসির মাংস খেলেও কখনো ব্রাহমা জাতের গরুর মাংস খাননি, তাই পরিবারের জন্য এটি ‘টেস্ট’ করার জন্য কিনছেন।

গরু দেখতে আসা হাবিব জানান, বাংলাদেশে এই পাঁচটি গরু ছিল আইকনিক এবং এগুলো সচরাচর দেখা যায় না। শিংবিহীন এই গরুর মাথার ওজনই ছিল প্রায় এক মণ এবং গরুর কুঁজে ২০ থেকে ২৫ কেজি মাংস ছিল।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের জুলাই মাসে করোনা মহামারির সময় সাদিক অ্যাগ্রো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে টার্কিশ এয়ারলাইনসে করে ১৮টি নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি করে। গরুগুলো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়ে।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, সাদিক অ্যাগ্রো গরু আমদানির জন্য তিনটি জাল নথি জমা দিয়েছিল: একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণি কোয়ারেন্টাইন বিভাগের একটি চিঠি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে গবাদি পশু আমদানির অনুমতিপত্র।

এই প্রতিটি নথি শুল্ক কর্মকর্তারা জাল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। সে সময় সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন গরু আমদানির কোনো বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি। বর্তমানে দুদক তদন্ত করছে, কোন প্রক্রিয়ায় সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এই ১৫টি ব্রাহমা জাতের গরু সাদিক অ্যাগ্রোকে দেওয়া হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *