ভোরের দূত ডেস্ক: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের আগে ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও পর্তুগালও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি প্রদান করেছে। জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, “আজ আমি ঘোষণা করছি, ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।” তিনি শান্তির আহ্বানও জানান এবং বলেন, “দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনাকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি” এবং এর মধ্য দিয়ে ইউরোপের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিদানকারী সর্বশেষ দেশ হিসেবে যুক্ত হলো। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন, যা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্তের ফলে আন্তর্জাতিক মহলে ফিলিস্তিনের মর্যাদা আরও দৃঢ় হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে এর আগে স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে এবং স্লোভেনিয়া ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-তে ফিলিস্তিনের মামলার পক্ষেও নৈতিক সমর্থন জোগাবে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এটিকে তাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে একটি ঐতিহাসিক জয় হিসেবে বর্ণনা করেছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক বিবৃতিতে বলেন, “ফ্রান্সের এই সাহসী সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।”
অন্যদিকে, ইসরায়েল এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, “একতরফাভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া শান্তি প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং ফিলিস্তিনিদের আরও উসকে দেবে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন কূটনৈতিক সংকট তৈরি করতে পারে। তবে এটি ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে একটি নতুন আন্তর্জাতিক জোয়ার তৈরি করতে পারে।