ভোরের দূত ডেস্ক: জাপানের রাজনীতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন হতে চলেছে। দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন সানায়ে তাকাইচি। ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বের দৌড়ে তিনি এগিয়ে আছেন। এই পদে নির্বাচিত হলে তিনি হবেন জাপানের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
এলডিপির মধ্যে তাকাইচির জনপ্রিয়তা সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তার রাজনৈতিক অবস্থান দৃঢ় এবং তিনি দলের প্রভাবশালী নেতাদের সমর্থন পেয়েছেন। বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন, যা তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
সানায়ে তাকাইচি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তিনি জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সদস্য এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনে তিনি অর্থনৈতিক নীতি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে তার কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত।
যদি তাকাইচি এলডিপির নেতা নির্বাচিত হন, তবে এটি জাপানের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে। এটি কেবল তার ব্যক্তিগত সাফল্যই নয়, বরং জাপানের সমাজে নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
তবে তাকে এখনো চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হতে হলে দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে জয়লাভ করতে হবে। এই নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা তুঙ্গে। অনেকেই তাকাইচির বিজয়কে জাপানের ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন দিকনির্দেশনা হিসেবে দেখছেন।