ভোরের দূত ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, প্রবীণরা কোনো সমাজের বোঝা নন, বরং তারা হলেন ‘জীবন্ত ইতিহাস’। তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অমূল্য দিকনির্দেশনা বহন করে। তিনি প্রবীণদের জন্য একটি আত্মনির্ভরশীল ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের সুযোগ তৈরি করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর যে বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পথে দেশ এগোচ্ছে, সেখানে প্রবীণদের অন্তর্দৃষ্টি ও কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি প্রবীণদের বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখার পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টা এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য— ‘‘ওল্ডার পারসনস ড্রাইভিং লোকাল এন্ড গ্লোবাল এ্যাকশন : আওয়ার এস্পিরেশনস, আওয়ার ওয়েল-বিইং, আওয়ার রাইটস’’-কে যথার্থ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার স্বপ্নে প্রবীণরাই হতে পারেন অন্যতম চালিকাশক্তি। তাদের অভিজ্ঞতা আমাদের সংকটে পথ দেখাবে এবং তরুণদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
তিনি আজকের এই দিনে প্রবীণদের দেশের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের সক্রিয় অংশীদার হিসেবে বরণ করে নেওয়ার এবং প্রতিটি মানুষকে সম্মানিত ও পরিপূর্ণ জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার আহ্বান জানান।