নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে চরদখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে গতকাল সোমবার (৬ অক্টোবর ২০২৫) রাত আনুমানিক ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে খুটাখালী বাজার এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনসুর গ্রুপ ও বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী শমশুল আলমের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ যৌথভাবে অস্ত্র নিয়ে খুটাখালী বাজারে সাধারণ লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
অভিযোগ অনুযায়ী, হামলাকারীদের মধ্যে ছিলেন আবু তাহের (৪৫, ওরফে অস্ত্র ব্যবসায়ী তাইরগে), রুবেল (৩০), শাহজাহান (৩২), এনাম (৩৭), মানিক (৩৮), দেলোয়ার (২৯), নজরুল (৪০), হেলাল (৩২), দেলোয়ার (৪২), শাহাদাত কবির মানিক (৪৩), শাহজালাল (২৯), ওসমান (৩৬), গিয়াস উদ্দিন (২৭), জামশেদ (২৪), আব্দুল খালেক (৪৮), আব্দুল মালেক (৪৬), জিয়ার রহমান (৩৯), এরফান (২৮), শফিকুল আলম (৩৫), আব্দুল হাকিম (৩৪), আজিম (৩৪), মনির উদ্দিন (৩৪), মাহফুজ (৩৯), হাছান (৩২), ফারুক (২৪) ও ফারুক (৩৮)।
অভিযোগ রয়েছে, তারা নতুন বাজার থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে অবস্থিত খুটাখালী বাজারে প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্বিচারে গুলি চালায়। এতে শিশু ও বয়স্কসহ অন্তত ১৭ জন সাধারণ লোকজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন জানান, তারা সারাদিনের কর্মব্যস্থতা শেষ করে দোকানে বসে চা পান গল্প করলে অতর্কিত ভাবে তারা হামলা করে।আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় স্থানীয়রা বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনজন পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতিতেও হামলাকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আরও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”স্থানীয় বাসিন্দারা নিরীহ জনগণের ওপর এই সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।