ভোরের দূত প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকায় সরকারি সাত কলেজের শিক্ষকরা আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন করেছেন। তাদের দাবি—সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত না করে আবারও স্বতন্ত্র কলেজ হিসেবে রাখা হোক। এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) প্রাঙ্গণে।
এরই প্রেক্ষিতে সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের প্রতিনিধিরা আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজ শহিদ মিনারে মানববন্ধনের মাধ্যমে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ইডেন মহিলা কলেজের প্রতিনিধি সাদিয়া আফরিন মৌ বলেন,”এতদিন শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নানা অযৌক্তিক যুক্তি দেখিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন। কিন্তু যখন দেখলেন অধ্যাদেশ প্রায় নিশ্চিত, তখনই শিক্ষকেরা ষড়যন্ত্রে নেমেছেন। সরকার বারবার আশ্বস্ত করলেও আজ প্রায় দেড় লক্ষ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “কে অতীতে আন্দোলনে ছিলেন, কে ছিলেন না—তা এখন বিবেচনার বিষয় নয়। অস্তিত্বের সংকট মোকাবিলা ও অধিকার আদায়ের জন্য সকলে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করবেন। অন্যথায় আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।”
অন্যদিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. আবদুর রহমান বলেন, “আজ শিক্ষকেরা কর্মচারীদের দিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা পরিচালনা করেছেন। তাই আগামীকাল শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনার্সের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।” তিনি আরও জানান যে, বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে সমসাময়িক বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,”আগামীকাল সকাল ১০টার মধ্যে ঢাকা কলেজ শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শিক্ষা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জানাতে হবে। অস্তিত্বের প্রশ্নে সাত কলেজ এক ও অভিন্ন।”
বর্তমানে সাত কলেজ নানা সমস্যায় জর্জরিত এবং অভিভাবকহীন অবস্থায় টিকে থাকার লড়াই করছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ—এই সময়ে শিক্ষকেরা সমস্যার সমাধান না করে উল্টো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। তাদের প্রশ্ন, “শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ও উন্নত শিক্ষার কোনো মূল্যই কি শিক্ষকদের কাছে নেই?”
উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী সরকারি সাত কলেজ হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি কবি নজরুল কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।