ভোরের দূত প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি উপ-কমিটি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আবারও পোষ্য কোটা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানরা নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মেনে ভর্তি হতে পারবেন।
শর্ত অনুসারে, ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম পাশ নম্বর (৪০) অর্জন করতে হবে। পাশাপাশি একটি বিভাগে সর্বোচ্চ দুইজন পর্যন্ত ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে শিক্ষকের সন্তানরা নিজ বিভাগের আসনে ভর্তি হতে পারবে না। এছাড়া এ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম প্রমাণিত হলে ভর্তি বাতিলসহ শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।
এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তারা শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর থেকে মিছিল বের করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা “মেধা চাই, কোটা নয়” স্লোগান দিয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী রিপন ইসলাম বলেন, “পোষ্য কোটা অতীতে বাতিল করা হয়েছিল, এখন তা ফিরিয়ে আনার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
অন্যদিকে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের দাবির আংশিক প্রতিফলন হয়েছে এ সিদ্ধান্তে। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক আব্দুল আলিম জানান, “প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনা করেছে। তবে আমরা রাকসু নির্বাচনের আগে কোনো চাপ সৃষ্টি করতে চাই না।”
ভর্তি উপ-কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, “এটি শর্তসাপেক্ষ একটি প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা। শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।”