এস এম অলিউল্লাহ নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের বাঙ্গরা গ্রামে বাপেক্স পরিচালিত গ্যাসক্ষেত্রের রাস্তা সম্প্রসারণকে কেন্দ্র করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় জমির মালিক বসির উদ্দিনের পরিবার দাবি করেছেন, সরকারি নোটিশ বা নিয়মকানুন মেনে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া না চালিয়ে প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে তাদের জমি দখল করা হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গ্যাসক্ষেত্রের যাতায়াত সহজ করতে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য এলাকার বিভিন্ন মালিকের জমি অধিগ্রহণ করা হলেও, হাজী শিশু মিয়ার উত্তরাধিকারের মাধ্যমে পাওয়া জমিতে নিয়ম ভঙ্গ করে বাড়ির সীমানা প্রাচীর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই জমির মালিক হচ্ছেন শিশু মিয়ার মেয়ে, মিস শারমিন আক্তার।
জমির মালিকের স্বামী এবং এনটিভির ইতালি প্রতিনিধি ওয়াহেদুজ্জামান দিপু অভিযোগ করেন, “আমরা সরকারের প্রয়োজনে জমি দিতে আপত্তি করি না। তবে সরকারি নিয়ম মেনে তা করতে হবে। নোটিশ না দিয়ে হুমকি-ধামকি এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির সীমানা ভাঙা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “জমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থাকলেও কুমিল্লার কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে দিয়ে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি জানে না।”
জানা গেছে, (৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান সরজমিনে আসেন। এরপর (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মুরাদনগর থানার ওসি ও পুলিশ-সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয়ার অভিযান চালানো হয়। তবে ভুক্তভোগীরা দাবি করেছেন, এর কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি।
মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সাকিব হাসান খান জানান, “২০০৩ সালে জমিটি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। মূল মালিক রফিকুল ইসলামের নামের নোটিশ হয়েছে। পরে যত তদন্ত করেছি, সবকিছু জেনে আজকের অভিযান চালানো হয়েছে। এটি সরকারি নিয়ম অনুসারে করা হয়েছে।
মালিক শারমিন আক্তার জানিয়েছেন, আইনসঙ্গতভাবে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে তাদের জমি দখল করা হলে তারা আইনি লড়াই চালাবেন।