রুহুল আমিন,স্টাফ রিপোর্টার: খাদ্য চাহিদা পূরণে ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন বেড়েছে।এটি পালন করে দ্রুত আয় করা যায়।ব্রয়লার মুরগি দ্রুত বাড়ে, কম খরচে উৎপাদন হয় এবং সহজলভ্য।এটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে উপকারী হতে পারে, আবার কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকিও সৃষ্টি করতে পারে।
ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিচে সহজ ভাষায় তুলে ধরা হলো:
ব্রয়লার মুরগির উপকারিতা:
প্রোটিনের ভালো উৎস:
ব্রয়লার মুরগি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করে, যা শরীরের পেশি গঠনে ও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
সহজলভ্য ও সস্তা:
দেশি মুরগির তুলনায় ব্রয়লার সহজে পাওয়া যায় এবং দামও কম, তাই সাধারণ মানুষের নাগালে।
দ্রুত রান্না হয়:
ব্রয়লার মুরগি দ্রুত সিদ্ধ ও রান্না হয়, তাই সময় বাঁচে।
নরম মাংস:
ব্রয়লারের মাংস নরম এবং শিশু ও বয়স্কদের জন্য সহজে চিবানো যায়।
কম চর্বিযুক্ত:
ব্রয়লার মাংসে তুলনামূলকভাবে কম চর্বি থাকে, বিশেষ করে বুকের অংশে।
ব্রয়লার মুরগির অপকারিতা:
হরমোন ও স্টেরয়েড ব্যবহার (যদি অসাধু খামার ব্যবস্থাপনায় হয়):
অনেক সময় দ্রুত বাড়াতে হরমোন বা স্টেরয়েড দেওয়া হয়, যা মানুষের হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব:
অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ালে মানবদেহে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হতে পারে, যা ভবিষ্যতে অসুস্থ হলে ওষুধে কাজ নাও করতে পারে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি (দীর্ঘমেয়াদে):
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত নিম্নমানের ব্রয়লার খেলে হৃদরোগ, হরমোন সমস্যা বা ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
প্রাকৃতিক স্বাদ কম:
দেশি মুরগির মতো স্বাদ বা ঘ্রাণ ব্রয়লারে কম পাওয়া যায়।