আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ টানা একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবির পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। মাত্র এক বছরও হয়নি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শাসক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) ক্রমাগত পরাজিত হচ্ছিলো—যার ফলে ইশিবার ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। রোববার তিনি সংবাদ সম্মেলনে জানান, নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য দলকে জরুরি ভিত্তিতে ভোট আয়োজন করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং ততদিন তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
ইশিবার পদত্যাগের ফলে জাপানের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি এক অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সাম্প্রতিক বাণিজ্য চুক্তি, ট্রাম্পের শুল্কনীতি ও জাপানের গাড়ি শিল্পের সংকট এই রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আরও জটিল হতে পারে।
অর্থনীতিবিদ কাজুতাকা মায়েদা মনে করেন, ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর ইশিবার সরে দাঁড়ানো ছিল সময়ের ব্যাপার। সম্ভাব্য উত্তরসূরিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি এবং প্রবীণ নেত্রী সানায়ে তাকাইচি। কোইজুমি বড় কোনো নীতি পরিবর্তন আনবেন বলে আশা করা না হলেও, তাকাইচির শিথিল রাজস্বনীতি ও সুদের হার বাড়ানোর বিষয়ে সতর্ক অবস্থান আর্থিক বাজারকে নড়েচড়ে বসাতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বছর দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচনে ইশিবা অল্প ভোটের ব্যবধানে তাকাইচিকে হারিয়েছিলেন। এবার তাকাইচির নামই সবচেয়ে আলোচিত সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে। অন্যদিকে, কৃষিমন্ত্রী হিসেবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া তরুণ নেতা কোইজুমিও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন।
দলটির সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় নতুন নেতৃত্ব সরাসরি প্রধানমন্ত্রী হবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, ক্ষমতায় এলে নতুন নেতা বৈধতা পেতে আগাম নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন।