মো. মুনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, কেউ বলছে সংস্কার ও কেউ বলছে বিচার ছাড়া নির্বাচন করবে না। বাংলাদেশে এই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। বাংলাদেশে বিচারের কথা বিএনপির মনের কথা। বিএনপির মত এত নির্যাতন এত জুলুম এত অত্যাচার আর কোন দলের প্রতি হয়েছে। সুতরাং আওয়ামীলীগের অত্যাচারী জালিমদের বিচার বিএনপি যতটা চায় ততটা আর কোন দল চায় না।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর খোলাপাড়া বালুর মাঠে আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংঠনের আয়োজনে তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই সব কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, পিআর জিনিসটা কি আপনারা জানে, কেউ জানে না। কিন্তু কোন কোন দল আবদার করছে পিআর ছাড়া নাকি তারা নির্বাচনে ভোট করবে না। সম্ভবত তারা বুঝতে পেরেছে। ভোটে দাড়াইলে ১০ আসনও পাবে না। সুতরাং ভোট বানচাল করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে যাতে নির্বাচন না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আপনারা কী এর সঙ্গে আছেন? সুতরাং আমাদের কর্তব্য আমাদের দায়িত্ব দলের প্রতি দেশের প্রতি আমাদের দায়িত্ব বাংলাদেশেল আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্টুভাবে হয় সেইজন্য আজকে থেকেই আমাদের কাজ করতে হবে।
আগামী নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীতে সরকার গঠনের লক্ষ্যে আমাদের ঐক্য ও সতর্ক থাকা জরুরি। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশের মানুষ কোনদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ফেরায় নাই। তারেক রহমানকে ফেরায় নাই। বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে ফেরায় নাই। ২৬ এর নির্বাচনে বিএনপির গণজোয়ার তৈরি হবে। বিএনপি জোর জবরদস্তির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি ভোট কারচুপির রাজনীতি কোনো দিন করে নাই। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে বাক্স ভরে ভরে ভোট এনে দিয়েছে। দলের নেতাকর্মীর কার্যকলাপ যেন এমন হয় ২৬ সালের নির্বাচনে ধানের শীষের জয় যেন কেউ রুখতে না পারে।
মামলা হামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসন থেকে শুরু করে তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম, ইউনিয়নের সকল নেতাকর্মীদের নামে শত শত মিথ্য মামলা এই ১৭ বছরে আমরা দেখেছি। এই ১৭ বছর আদালতের বারান্দায় বারান্দায় আমাদের হাটতে হয়েছে। ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারি নাই। সরকারি চাকরি হয় নাই। আমার বিরুদ্ধেও ১০ টা মামলা তার মধ্যে খুনের মামলাই আছে তিনটা। আপনার আমার কারো জীবনে কোন শান্তি ছিল না। কিন্তু আমরা একদিনের জন্যও দলের আদর্শের বাইরে যাই নাই। এক মুহূর্তের জন্য সরকারের সাথে আপোষ করি নাই।
শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।