ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: দেশের বিভিন্ন জেলায় আহলে হাদিস মসজিদ ও মাদ্রাসায় অতর্কিত হামলার প্রতিবাদ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল ও বাধ্যতামূলক ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ২৬-শে সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভেলাজান বাজারে “ভেলাজান এলাকা জমঈয়ত আহলে হাদীস ঠাকুরগাঁও” এর উদ্যোগে উক্ত মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
ঠাকুরগাওয়ের জুলাই যোদ্ধা হাফেজ মোঃ রেদওয়ান ইসলামের কোরআন তেলোয়াতে এবং ভেলাজান শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পী হাবিবুর রহমানের ইসলামী সংগীত দিয়ে শুরু হওয়া মানববন্ধনটি প্রায় ঘন্টা ব্যাপী চলে। এসময় মানববন্ধনে ক্ষোভ প্রকাশ করতে উপস্থিত হয় শত শত মুসল্লী।
উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আবু সুফিয়ান, জেনারেল সদস্য ঠাকুরগাঁও জেলা জমাঈয়ত আহলে হাদিস। মোঃ তোজাম্মেল হক, সভাপতি, ভেলাজান এলাকা জমঈয়ত আহলে হাদিস। মোঃ আব্দুল বারী, সেক্রেটারি, ভেলাজান উত্তর এলাকা জমঈয়ত আহলে হাদিস। মোঃ জসীর উদ্দিন, ইমাম, ভেলাজান বাজার জামে মসজিদ। মোঃ ফারুক হোসেন, সভাপতি, ভেলাজান উচ্চ বিদ্যালয়। নুরুজ্জামান সুজন (সুজ্জল), সভাপতি, ভেলাজান ব্লাড ডোনার ফাউন্ডেশন। মোঃ জুবায়ের আনসারী, প্রচার সম্পাদক, ভেলাজান ব্লাড ডোনার ফাউন্ডেশন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব মিজানুর রহমান বিশিষ্ট সমাজসেবক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ইসমাইল হোসেন সহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা।
এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা জানান, বাংলাদেশ মুসলিম দেশ এ দেশের শতকরা ৯২ ভাগ মানুষ মুসলমান । এই বাংলাদেশে মুসলমানদের উপর বরাবরই নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আলেম সমাজকে হেনস্থা করা হয়। সেই সাথে যারাই হকের পক্ষে কথা বলেছিল, যারা এই বাতিলের মুখোশ খুলতে গিয়েছিলেন তাদেরকেই খুন করা হয়েছে, গুম করা হয়েছিল। ইতিহাস আমরা ভুলি নাই এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ এর ৪-ই আগস্টে সেই স্বৈরাচার সরকারকে এই দেশের তৌহিদি জনতা ধর্ম-বর্ণ দল-মত নির্বিশেষে সবাই এক প্ল্যাটফর্মে মিলিত হয়ে এদেশ থেকে স্বৈরাচার সরকারকে বিতাড়িত করেছিল।
যে দেশে শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমান। যে দেশে আযানের ধ্বনি দিয়ে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। এদেশে ইসলাম বিদ্বেষী আইন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষকের পরিবর্তে কিভাবে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতি তারই প্রশ্ন ছুড়ে দেন মানববন্ধনে অংশ নেয়া বক্তারা।
সেই সাথে অতি দ্রুত দেশের বিভিন্ন জেলায় আহলে হাদিস মসজিদ ও মাদ্রাসায় আওতর্কিত হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন বাতিল এবং প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। অন্যথায় রাজপথে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।