লাদাখ বিক্ষোভের নেতা সোনম ওয়াংচুক জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক

ভোরের দূত ডেস্ক: লাদাখকে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার পরিবেশকর্মী, গবেষক ও ইঞ্জিনিয়র সোনম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় লাদাখ পুলিশের ডিজি এসডি সিংহ জামওয়ালের নেতৃত্বে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোনম ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে ‘উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনতাকে উস্কে দেওয়ার’ অভিযোগ এনেছিল।

প্রতিবেদন অনুসারে, বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রসহ চারজন নিহত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াংচুকের অলাভজনক সংগঠন ‘স্টুডেন্টস এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল মুভমেন্ট অফ লাদাখ’ (SECMOL)-এর নিবন্ধন বাতিল করে দেয়। এর একদিন পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।

যদিও বৃহস্পতিবার ওয়াংচুক দাবি করেছিলেন, তার সংগঠন কোনো বিদেশি অনুদান নেয়নি। তিনি স্বীকার করেন যে জাতিসংঘ, সুইস ও ইতালীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন হয়েছে এবং সব কর পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি এটিকে সরকারের ভুল হিসেবে মনে করেন।

২০১৮ সালে র‍্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সুপরিচিত সমাজকর্মী তার বিরুদ্ধে আনা সরকারের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গত ছয় বছর ধরে স্থানীয় নাগরিক সংস্থাগুলোর নেতৃত্বে লাদাখের হাজার হাজার মানুষ ভারতের কাছ থেকে বৃহত্তর সাংবিধানিক সুরক্ষা এবং রাজ্যের মর্যাদা দাবি করে শান্তিপূর্ণ মিছিল ও অনশন করছেন।

২০১৯ সালে মোদি সরকার একতরফাভাবে ভারতীয় সংবিধানের অধীনে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের আধা-স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা এবং রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেয়। তখন রাজ্যটিকে তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়—কাশ্মীর উপত্যকা, জম্মু এবং লাদাখ।

২০১৯ সাল থেকে লাদাখ ফেডারেলভাবে শাসিত হচ্ছে, কিন্তু সেখানকার বাসিন্দারা এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ক্ষমতা চান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *