আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়) আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণে অনীহা জানানোর মতো কোনো গ্রহণযোগ্য কারণ নেই। একইসঙ্গে তিনি জানান, এ বিষয়ে কোনো শক্তিশালী যুক্তিও সামনে আসেনি। বরং টেকসই উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার দিকেই এখন মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
তার মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভবিষ্যতে শ্রমমান, পরিবেশসহ বিভিন্ন সূচকে সমান মানদণ্ড প্রয়োগ করবে। ফলে বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারা বজায় রাখতে জ্বালানি, করব্যবস্থা ও লজিস্টিক খাতকে আরও শক্তিশালী করা অপরিহার্য।
এদিকে গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী মহল থেকে দাবি উঠেছে যে, দেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এখনো হয়নি। আগের সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো ‘ভুল তথ্যের ভিত্তিতে’ হয়েছে বলেও তাদের অভিযোগ। অনেকের মতে, উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের আগে আরও সময় প্রয়োজন।
তবে বর্তমান সরকার বলছে, আগের সরকারের নেওয়া উদ্যোগের ধারাবাহিকতাতেই তারা এগোচ্ছে। চলতি বছরের ১৩ মার্চ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।
জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ২৫ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারকে পাঠান সিডিপি চেয়ারম্যান হোসে অ্যান্টোনিও ওকাম্পো। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে একজন প্রতিনিধি ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিতে পারবেন। সভার তারিখ, এজেন্ডা ও অংশগ্রহণকারীদের তালিকা পরবর্তীতে জানানো হবে।