ভোরের দূত ডেস্ক: গত বছর গণঅভ্যুত্থানের পর পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সাকিব আল হাসানের ফেসবুকে পোস্ট করা ছবি ও ক্যাপশন নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় এবার সরাসরি মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম তাঁর ফেসবুকে স্ট্যাটাসে সাকিবকে সরাসরি ইঙ্গিত করে লেখেন, সাকিবের পোস্টে শুধু “আপা” শব্দটি বদলে “গণহত্যাকারী” লিখলেই বার্তা দাঁড়াতো: “শুভ জন্মদিন, গণহত্যাকারী।”
প্রেস সচিব অভিযোগ করেন, দেশের একজন শীর্ষ ক্রীড়াবিদ এমন একজনকে শুভেচ্ছা জানালেন, যিনি “শিশু-কিশোরসহ হাজারো মানুষের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন বলে অভিযুক্ত।” তিনি বলেন, সাকিবের এই কাজ “সত্যিই লজ্জাজনক।”
তিনি আরও দাবি করেন: এই বার্তা স্পষ্ট—শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ যদি আবার ক্ষমতায় ফেরে, তবে সাকিবও সেই “রক্তমাখা শাসনে নামতে প্রস্তুত”। অতীতে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি থেকে সুবিধা ভোগের অভিযোগের মতো সাকিব এবারও “সুযোগ নিয়ে সুবিধা ভোগের পথ খুঁজবেন”। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসনের পাশে দাঁড়ানো ক্রীড়াবিদদের উদাহরণ টেনে বলেন, সাকিবও একই ধরনের এক স্বৈরশাসন—শেখ হাসিনার শাসনব্যবস্থার পাশে দাঁড়িয়ে গেছেন।
শফিকুল আলম বলেন, “একজন গণহত্যাকারীকে প্রকাশ্যে উদযাপন মানেই দর্শক হয়ে থাকা নয়—বরং হয়ে ওঠা সেই হত্যাযন্ত্রেরই অংশ।”
তিনি অভিযোগ করেন, ন্যায়ভিত্তিক বিশ্বে এমন অবস্থান “জনসমক্ষে কলঙ্ক ও আলোচ্য মঞ্চ থেকে নির্বাসনের” কারণ হতো। তিনি মনে করিয়ে দেন, তথাকথিত গণমাধ্যমগুলো অনেক সময় গণহত্যাকেও গণহত্যা বলতে দ্বিধা করে এবং মুনাফার কারণে সেলিব্রিটিরা এমন শাসনের পাশে দাঁড়ায়।
উল্লেখ্য, সাকিবের পোস্টের পরপরই ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নাম উল্লেখ না করে একটি পুনর্বাসন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দেন। এর জবাবে সাকিবও পাল্টা পোস্টে ইঙ্গিত করেন যে, আসিফ মাহমুদের জন্যই তাঁর আর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেওয়া হয়নি। এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই প্রেস সচিব শফিকুল আলম কঠোর ভাষায় মন্তব্য করলেন।