সন্নিবেশ: প্রায় ৭৫ বছর পর মাদ্রিদ ডার্বিতে ইতিহাস গড়লো আতলেতিকো মাদ্রিদ। শহরের প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের জালে এক ম্যাচে পাঁচ গোল দিলো দিয়েগো সিমিওনের দল। দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ এই লড়াইয়ে আতলেতিকো জিতলো ৫-২ গোলে।
এর আগে শেষবার ১৯৫০ সালের নভেম্বরে রিয়ালের বিপক্ষে ডার্বিতে পাঁচ বা তার বেশি গোল করেছিল আতলেতিকো, সেই ম্যাচে তাদের জয় ছিল ৬-৩ গোলে। এবারও তাদের দুর্দান্ত ফুটবল ভক্তদের ফিরিয়ে নিলো সেই স্মৃতিতে।
ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়ালের রক্ষণে চাপ বাড়ায় আতলেতিকো। এর ফল আসে দ্রুতই, জুলিয়ানো সিমিওনের ক্রসে রবিন লে নরম্যান্ড হেডে এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের। তবে বেশিক্ষণ আনন্দ টেকেনি। আর্দা গুলের দুর্দান্ত পাস থেকে গোল করেন এমবাপ্পে, যা ছিল মৌসুমের তার অষ্টম গোল। কিছুক্ষণ পর ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ক্রস থেকে ভলিতে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন গুলার।
কিন্তু আতলেতিকো হাল ছাড়েনি। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে কোকের নিখুঁত ক্রসে হেড করে সমতা ফেরান আলেক্স সর্লোথ।
বিরতির পরই ম্যাচ পুরোপুরি ঘুরে যায়। কর্নার থেকে মাথা উঁচিয়ে ক্লিয়ার করতে গিয়ে অমনোযোগী ফাউল করেন গুলার। রেফারি পেনাল্টি দেন, আর সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জুলিয়ান আলভারেজ। কয়েক মিনিট পর তার দারুণ ফ্রি-কিক সোজা জালে জড়িয়ে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আতলেতিকো। এতদিন বাদে, মেসির পর দ্বিতীয় কোনো আর্জেন্টাইন রিয়াল মাদ্রিদ এর বিপক্ষে ফ্রি কিকে গোল করলো। শেষ দিকে বদলি হিসেবে নামা গ্রিজম্যান ঠান্ডা মাথায় গোল করে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।
এই হারে মৌসুমে প্রথমবার লিগে হারলো রিয়াল, যারা এর আগে টানা ছয় ম্যাচ জিতে শীর্ষে ছিল। সর্বশেষ লা লিগায় ২০১৮ সালে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৫-১ গোলে হারতে হয়েছিল তাদের।
ম্যাচ শেষে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আতলেতিকো কোচ দিয়েগো সিমিওনে। তিনি বলেন,
*”মৌসুমের শুরুটা কঠিন ছিল, কিন্তু আমরা জানতাম কখন কোথায় আঘাত করতে হবে। এই জয় অনেকের প্রচেষ্টার ফল।”*
অন্যদিকে রিয়াল কোচ জাবি আলোনসো স্বীকার করেন, তাদের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি।
*”আমরা আমাদের স্বাভাবিক মানে খেলতে পারিনি। এটা আমাদের ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে,”* বলেন তিনি।
এই জয়ে লিগে শেষ ছয় ম্যাচে রিয়ালের বিপক্ষে অপরাজিত থাকলো আতলেতিকো। তবে পয়েন্ট টেবিলে রিয়াল এখনও শীর্ষে, দুই নম্বরে বার্সেলোনা। আতলেতিকো আছে চতুর্থ স্থানে, ছয় পয়েন্ট পিছিয়ে।