ভোরের দূত ডেস্ক: শীঘ্রই রিলিজ হতে যাওয়া নাটক “ভুয়াপুর” নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এখনো প্রচারে না আসতেই নাটকের নাম ঘিরে পরিচালক শামীম মোহাম্মদকে দেওয়া হচ্ছে মামলার হুমকি।
মাশরুম ফিল্মস ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি শিগগিরই প্রচারিত হবে। এর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলেও নাটকটি প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতারা। বর্তমানে পোস্ট-প্রোডাকশনের কাজ চলছে।
গ্রামীণ পরিবেশে নির্মিত এই নাটকটি আবর্তিত হয়েছে কল্পিত গ্রাম বসন্তপুরকে ঘিরে। গল্পে দেখা যায়, প্রতারণায় জড়িয়ে পড়া গ্রামবাসীর কারণে গ্রামের নাম হয়ে যায় “ভুয়াপুর”। কেউ ভুয়া পুলিশ, কেউ ভুয়া ডাক্তার, কেউ বা ভুয়া ইঞ্জিনিয়ার সেজে চালিয়ে যায় প্রতারণা। এমনকি কেউ কেউ নারী কণ্ঠ নকল করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
মজার সব ঘটনা আর হাস্যরসাত্মক উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় কাহিনী। তবে কেবল হাসির খোরাকই নয়, এর ভেতর দিয়ে দর্শক মানবিক বার্তা ও সামাজিক সচেতনতাও খুঁজে পাবেন।
নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন তরুণ প্রজন্মের নির্মাতা শামীম মোহাম্মদ। অভিনয় করেছেন আজমাইন মেহরাব ইলহাম, স্পর্শিয়া মিম, ইকবাল হোসেন, আল-ইবনে সিনা, আশিক সরকার, সিফাত বন্যা, এম.আই. জুয়েল, খায়রুল আলম, অভিজিৎ, রাশেদা রাখি, লাবনী সরকারসহ আরও অনেকে।
অভিনেতা আল-ইবনে সিনা বলেন,
“আমরা ছোটবেলা থেকে যেসব গ্রামীণ গল্পের নাটক দেখেছি, এখন সেরকম কাজ খুব একটা হয় না। এই নাটক সেই পুরোনো দিনের স্মৃতি মনে করিয়ে দেবে। গ্রাম হলো আমাদের শিকড়, আর শিকড়ের গল্প হলে মানুষ সহজেই তার সঙ্গে মিল খুঁজে পায়।”
নাটকটি প্রচারের আগেই নাম নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। একটি টিভি চ্যানেলের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্মাতাকে উদ্দেশ্য করে নানা মন্তব্য আসছে। কেউ কেউ মামলার হুমকিও দিচ্ছেন।এ বিষয়ে পরিচালক শামীম মোহাম্মদ বলেন,
“ভুয়াপুর শুধু একটি কমেডি নাটক নয়, এটি সমাজের প্রতিচ্ছবি। আমি নাটক বানাই বিনোদন ও সমাজ সচেতনতার জন্য। মামলা নিয়ে আমার একদমই মাথাব্যথা নেই।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“এই নাটক কোনো জাতি, বর্ণ বা নির্দিষ্ট অঞ্চলকে হেয় করার জন্য নির্মিত হয়নি। টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরের সঙ্গে নাটকের কোনো মিল নেই, এমনকি ভাষাতেও নয়। তবুও টাঙ্গাইলের যেসব দর্শক আমাকে মামলা করার হুমকি দিচ্ছেন, আমি তাঁদের ভরসায়ই নাটকটি প্রকাশ করবো—কারণ তারাই আমার প্রকৃত দর্শক।”