ভোরের দূত ডেস্ক: এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ভারত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথে এর আগে কোনো দল টানা ছয়টি ম্যাচ জেতেনি। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নেয় সূর্যকুমার যাদবের দল। যদিও গ্রুপ পর্বের ম্যাচের মতো এটি একপেশে ছিল না, পাকিস্তান বেশ কিছুটা সময় ভারতকে চাপে রেখেছিল।
পাকিস্তানের ইনিংসে লড়াই ও পরিবর্তন
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান দারুণ শুরু করে। ওপেনিং জুটিতে ফখর জামান ও সাহিবজাদা ফারহান আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। ৯ বলে ১৫ রান করে ফখর দ্রুত ফিরলেও, ফারহান ও সাইম আয়ুব ৯৩ রানের জুটি গড়েন। তবে সাইমের (১৭ বলে ২১ রান) আউটের পর পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায়। ৪৫ বলে ৫৮ রান করা ফারহানসহ ১১৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় তারা।
পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। প্রথম তিনটি ম্যাচে শূন্য রান করা সাইম আয়ুবকে তিনে নামানো হয়। এছাড়া, দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার ফখর জামানকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হয়, যা শুরুটা আগ্রাসী করতে সাহায্য করে। শেষদিকে অধিনায়ক সালমান আলি আগা ১৩ বলে ১৭ এবং ফাহিম আশরাফ ৮ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলের স্কোরকে ১৭১-এ নিয়ে যান। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৯১ রান করা পাকিস্তান, শেষ ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮০ রান যোগ করতে সক্ষম হয়।
ভারতের উড়ন্ত সূচনা
১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়। ওপেনিং জুটিই ম্যাচ থেকে পাকিস্তানকে প্রায় ছিটকে দেয়। অভিষেক শর্মা প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন এবং পাকিস্তানের বোলারদের উপর শুরু থেকেই দাপট দেখান। পেসার বা স্পিনার কেউই তাকে আটকাতে পারছিল না। অন্যদিকে, অফ ফর্মে থাকা শুভমন গিল (তিন ম্যাচে মাত্র ৩৫ রান) এই ম্যাচেই রানে ফিরে আসেন এবং ৮টি চারের সাহায্যে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। পরবর্তীতে তিলক বর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া সেই ভিতকে কাজে লাগিয়ে দলকে জয় এনে দেন।
টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দলের জয় ৬ উইকেটে। দুবাইয়ে রোববার ১৭২ রানের লক্ষ্য ৭ বল হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলে তারা।