কিশোরগঞ্জ: আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে মনোনয়নপত্র জটিলতা তৈরি হয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো: ওমর ফারুক অভিযোগ করেছেন, তফসিল অনুযায়ী সব প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা ও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলেও তার মনোনয়নপত্রের ‘সর্বশেষ অবস্থা’ জানানো হয়নি।
গতকাল বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের চরশলাকিয়া এলাকায় নিজের ব্যক্তিগত চেম্বারে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ উত্থাপন করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে ওমর ফারুক বলেন, “নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময় অনুযায়ী আমি সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিই। ১৪ সেপ্টেম্বর বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও আমার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। অথচ ১৬ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলেও আমাকে বাদ দেওয়া হয়। দুইদিন অপেক্ষার পর আমি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাও স্পষ্ট কোনো জবাব দেননি। আমার মনোনয়নপত্র যদি বাতিল হয়ে থাকে তবে সেটি অফিসিয়ালি আমাকে জানানো উচিত ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “১৭ বছর ধরে আমি দলের আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে আছি। হাসিনা সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তৃণমূল নেতাকর্মীরা আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান। অথচ এখনো আমার প্রার্থিতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের আচরণ আমাকে হতাশ করেছে। আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
সংবাদ সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মো. খুরুম শেখ, হোসেনপুর পৌর সড়ক পরিবহন শ্রমিক দলের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুদ পারভেজ নয়ন, কিশোরগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, জিয়া সংসদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক মো: খায়রুল ইসলামসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী মিজানুর রহমান বলেন, “ওমর ফারুক কোনো ইউনিটের কাউন্সিলর নন। কাউন্সিলর না হলে তিনি প্রার্থী হতে পারেন না। এ কারণেই তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে লিখিতভাবেও জানিয়ে দেওয়া হবে। আমরা কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ীই কাজ করছি।”
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হলেও মনোনয়নপত্র জটিলতার ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।