দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের দীঘিরজান এলাকায় অবৈধ লেভেল ক্রসিং বন্ধ করতে গিয়ে রেলওয়ে কর্মকর্তারা এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন। এ সময় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ও ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন প্রায় ১৫ মিনিট আটকে রাখে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় অবৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রী পপি আক্তার (২৩) এবং চালক সাদিক মিয়া (৩৭) নিহত হন। নিহত দুজনের বাড়ি কসবা উপজেলায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই অবৈধ ক্রসিং বন্ধ করতে যায়। কিন্তু এলাকাবাসী পথ খোলা রাখার দাবিতে প্রতিবাদ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা লাঠিসোঁটা হাতে জড়ো হয়ে রেললাইনে অবস্থান নেয় এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
ঘটনার সময় ট্রেনে থাকা কয়েকজন যাত্রী জানান, হঠাৎ ট্রেন থেমে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে এলাকাবাসী যাত্রীদের ওপর হামলা করেনি। প্রায় ১৫ মিনিট পর স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে ট্রেন দুটি পুনরায় যাত্রা শুরু করে।
এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, “দীঘিরজান লেভেল ক্রসিংটি অবৈধ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেটি বন্ধ করতে গেলে এলাকাবাসী বাধা দেয়। এ কারণে দুটি ট্রেন সাময়িকভাবে আটকে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”