দ্বীনি উপদেশ দানেও রয়েছে নীতিমালা

ধর্ম

ভোরের দূত ডেস্ক: মুসলমানদের  দ্বীনি উপদেশ ও নসিহতের ক্ষেত্রেও মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য অনন্য শিক্ষা রেখে গেছেন।

যুগের শ্রেষ্ঠ নবী, হযরত মূসা আলাইহিস সালাম যখন মানবজাতির ইতিহাসে সর্বনিকৃষ্ট শাসক ফেরাউনের নিকট দাওয়াত দিতে গেলেন, তখনও আল্লাহ তাআলা তাকে আদেশ করলেন-

فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَيِّنًا

অর্থ- “তোমরা তার সাথে কোমল ও বিনয়ী ভাষায় কথা বল।” -সুরা ত্বাহা (৪৪)

এখানে শিক্ষা এই যে, হযরত মূসা আ. ছিলেন যুগের শ্রেষ্ঠ মানব, আর ফেরাউন ছিল নিকৃষ্টতম অত্যাচারী। তবুও সেখানে আল্লাহ তাআলার নির্দেশ হলো, রূঢ়তা নয়-বরং কোমলতা, অবজ্ঞা নয়-বরং বিনয়ের সাথে দাওয়াত পেশ করা।

আবার দ্বীনের কাজ মানে শুধু বক্তৃতা নয়, বরং প্রথমে নিজের জীবন গড়া, নিজের আমলকে সাজানো।
আর দ্বীন প্রচারের সঠিক আদব-নীতিমালা কেবলই শিখা যায় হক্বপন্থী আলেম, আল্লাহওয়ালা ও আখলাকদার ওস্তাদদের সোহবতে থেকে। তারপর তাদের অনুমতি ও দোয়া নিয়ে দ্বীনের খেদমতে নামাই হলো নিরাপদতম পথ।এ শিক্ষা  বুজুর্গ হযরত মাওলানা তৈয়্যেব আশরাফ সাহেব (দামাত বারকাতুহুম) এর বয়ান থেকে সংগৃহীত। এই অমূল্য উপদেশ মুসলমানের দাওয়াতী কাজের মূল নীতিমালা ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *