কিশোরগঞ্জ করিমগঞ্জে রোপা আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা

অর্থনীতি

রকি হাসান, কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ১১টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে হাইব্রিড উফশী ও স্থানীয় জাতের প্রায় ১৩ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে ১২৫৫০ হেক্টর এবং উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৭২,৯৩০ মেট্রিকটন ধান ও ৪৮,১৩৩.৮ মেট্রিকটন চাল। এরমধ্যে কৃষি প্রদর্শনী রয়েছে প্রায় ৮০টি। এছাড়াও হাইব্রিড জাতের আবাদ হয়েছে ২৬৭০ হেক্টর জমিতে।
হাইব্রিডের উল্লেখযোগ্য জাতগুলো হল – ধানী গোল্ড, এজে-৭০০৬, এরাইজ আইএনএইচ, সুবর্ণ-৮। উফশী জাতের আবাদ হয়েছে ১০৫৮০ হেক্টর জমিতে। উফশী জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: বি আর-২২, ব্রিধান -৪৯,৭৫,৮৭,৯০,৯৫ ও ১০৩ এবং বিনাধান-১৭। স্থানীয় জাতের আবাদ হয়েছে ১০ হেক্টর জমিতে। স্থানীয় জাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-কালোজিরা, মনগিরি, বিরই।

এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং রোগবালাই পোকামাকর আক্রমণ না করলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। তবে কৃষকদের মাঝে সার, বীজ ও ঔষুধ প্রণোদনার পাওয়ার কথা দু’তিনজন কৃষক স্বীকার করলেও বেশিরভাগ কৃষকই না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

কাদির জঙ্গল ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের কৃষক মো: নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি ভাগে প্রায় ১০০ শতাংশ জমি এ বছর চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে সার, বীজ ও ঔষুধসহ সেচ মেশিন, ঔষধ স্প্রে মেশিন পেয়েছি। এখানের কৃষি অফিসাররা প্রায় সময় এসে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকে।

একই ইউনিয়নের মো: জলিল মিয়া বলেন, কৃষি অফিস থেকে সার ঔষুধ পাই। অনেক সময় কিছু সার, ঔষুধ দোকান থেকে কিনতে হয়। কৃষি অফিসাররা প্রাই সময়ে এখানে আসে। আমাদের যাবতীয় পরামর্শ দিয়ে থাকে।

মো: মুর্শিদ ও মো: আবু সালেকসহ আরো অনেক কৃষক জানান, আমরা জন্ম থেকেই কৃষিকাজ করে আসছি। প্রতিবছরই সরকার সার, বীজ ও ঔষুধ সরকার ভর্তুকী দেয় কিন্তু আমরা কৃষি অফিস থেকে এ পর্যন্ত কোন সুযোগ সুবিধা পাইনা। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ কৃষকরা যাতে সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা পায় সেদিকে লক্ষ রাখার অনুরোধ রইল।

এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব চন্দ্র ধর বলেন, এবছর চলতি মৌসুমে করিমগঞ্জ উপজেলায় ১৩ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে কৃষি প্রদর্শনী আছে ৮০ টি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগবালাই পোকামাকরের আক্রমণ না করলে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করি। আমাদের যারা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে তারা সার্বক্ষনিক কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে। এমনকি আমি নিজেও মাঠ পর্যায় গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *