কেরানীগঞ্জে প্রবাসীর বাড়ি দখলের অভিযোগ

অপরাধ

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্রবাসীর বসতভিটা দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে। ইতালি প্রবাসী লিটন হাওলাদার (৪৫) বাড়ি রক্ষার জন্য দেশে ফিরলেও বর্তমানে তিনি পরিবারসহ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের স্কুল রোড এলাকায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

লিটন হাওলাদার জানান, তিনি ১৭ বছর ধরে ইতালিতে বসবাস করছেন। চার বছর আগে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন মধ্যেরচর মৌজায় বৈধ কাগজপত্রের মাধ্যমে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে সেখানে ছয় কক্ষ বিশিষ্ট একটি সেমিপাকা বাড়ি নির্মাণ করেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিবর্তনের সুযোগে আলমগীর হোসেন (৩৬), শাহীন মিয়া (৩৮), এনামুল হক (৪০) ও শাহাদাত হোসেন (৩৪)সহ কয়েকজন ব্যক্তি ওই জমির মালিকানা দাবি করে বাড়ির সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে। এ ঘটনায় প্রবাসী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ ও আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা (পিটিশন নং-২১৯/২০২৫) দায়ের করা হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১ অক্টোবর।

লিটনের অভিযোগ, মামলার তোয়াক্কা না করে গত ৩১ আগস্ট সকালে আলমগীরের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে ভাড়াটিয়াদের মারধর ও উচ্ছেদ করে। বাধা দিতে গেলে তার ছোট ভাই রফিকুলকেও মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। পরে বাড়ি ভাঙার কাজও শুরু করে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিটন বলেন,
“প্রবাসে থেকে রক্ত পানি করা উপার্জিত টাকায় কেনা আমার বাড়ি আজ দখল হয়ে যাচ্ছে। দেশে ফিরে এসেও হুমকির মুখে আছি। মাননীয় ভূমি উপদেষ্টা ও প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি আমার বাড়িটি দখলমুক্ত করে দিতে।”

ভুক্তভোগী বাড়ির এক ভাড়াটিয়া জানান, তারা তিন বছর ধরে সেখানে ভাড়া থাকলেও গত ৩১ আগস্ট আলমগীরের নেতৃত্বে দলবল এসে মালপত্র ফেলে দিয়ে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে।

অভিযোগ অস্বীকার করে আলমগীর হোসেন বলেন,
“প্রবাসী লিটন যে দাগে জমি কিনেছেন আমিও সেই দাগে জমি কিনেছি। তার বাড়ি দখলের অভিযোগ মিথ্যা। আমার কাছে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।”

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল হক ডাবলু জানান, প্রবাসীর জমি দখলের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *