সরাইলে খানাখন্দে ভরা সড়কে চরম ভোগান্তি, সংস্কারের দাবি হাজারো মানুষের

সারাদেশ

মো, মুনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ বাজার মোড় থেকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বাড়িউড়া বাজার পর্যন্ত সড়কটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটিতে অসংখ্য খানাখন্দ ও বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ, স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ যাত্রীদের এই রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বিকল্প কোনো সড়ক না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

রবিবার (০৭সেপ্টেম্বর ) সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ইট, খোয়া ও পাথর বেরিয়ে এসেছে। ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে ভরা এ সড়ক দিয়ে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন। যান চলাচলের সময় যাত্রীদের প্রচণ্ড ঝাঁকুনি সহ্য করতে হয়। ফলে প্রায়ই ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিন বছর ধরে সড়কটির অবস্থা করুণ। চার বছর আগে শেষবার সংস্কার হলেও, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে তা টিকেনি। অল্প সময়ের মধ্যেই সড়কটি আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। এরপর থেকে আর কোনো সংস্কার হয়নি।

অটোরিকশাচালক লাদেন আলী বলেন, “রাস্তায় অসংখ্য গর্ত থাকায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ে। গর্ভবতী নারীদের যাতায়াতে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়। সরকারের কাছে অনুরোধ, দ্রুত যেন রাস্তাটি সংস্কার করা হয়।”

স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও জানায়, এই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয়। রাস্তার অবস্থার কারণে ড্রেস নষ্ট হয়, ভিজে যায়, রিকশা উল্টে যায় পানির নিচে থাকা গর্তে পড়ে।

এ বিষয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মুসা উসমানী মাসুক বলেন, “প্রতিদিনই এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ১০ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে ৩৫-৪০মিনিট। দ্রুত সংস্কার খুবই জরুরি।”

একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামবাসী বলেন, “মাটি ও বালিবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে সড়কটির অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।”

নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মনসুর আহমেদ বলেন, “এটি আমাদের ইউনিয়নের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। আমিও রিকশা করে যেতে গিয়ে মাজায় ব্যথা পাই। জনগণের স্বার্থে দ্রুত এই রাস্তার সংস্কার দরকার।”

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *