ভোরের দূত ডেস্ক: সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতীক নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
আজ শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শহীদ সাটু হল মিলনায়তনে এক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন।
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “বিদ্যমান আইনের আওতায় নির্বাচন কমিশন সব কাজ করে যাচ্ছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করতে পারে না, করবে না। আইন যেভাবে আছে, সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং আমরা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সদা প্রস্তুত আছি।”
বিগত নির্বাচনে ভোট কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যারা অতীতে নির্বাচনে অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাদেরকে আমরা নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে দূরে রাখব। তাদের নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করতে দেব না।”
নির্বাচনের পর পরাজিত দলগুলোর পক্ষ থেকে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বা কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে ইসির প্রস্তুতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নির্বাচন স্বচ্ছ হয়নি কোনো কোনো দল বলতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের সিচুয়েশন নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টিতে আসেনি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
নির্বাচন স্বচ্ছ রাখতে এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা ও ভোট কারচুপি রোধে নির্বাচন কমিশন মাঠ পর্যায়ে মোবাইল টিম, মোবাইল কোর্ট, ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি ও পর্যবেক্ষক টিমসহ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে মনিটর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলেও জানান আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
কর্মশালায় রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান সভাপতিত্ব করেন এবং এতে ৭০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।