আবু সালেহ মোঃ হামিদুল্লাহ কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিতে পৌর কার্যালয়ে জন্ম সনদ সংশোধন,মুদ্রণ ও নতুন আবেদন আবেদন করেও ১৫-২০দিনেও জন্ম সনদ হাতে পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা।
মঙ্গলবার (২রা আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,আবেদন করে পৌর কর জমা দিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দ্বারা সাক্ষর করিয়ে পৌর কার্যালয়ে জমা দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা।
ঝুমা আক্তার নামে একজন অভিভাবক বলেন,প্রায় দের মাস হয়ে গেছে আবেদন জমা দিয়েছি।তারা শুধু বলে কাল পাবেন পরশু পাবেন।এভাবে আজও পাইনি আমার ছেলের জন্ম সনদ।অন্যদিকে আমার বাবার বাড়ি বনগ্রাম ইউনিয়নে আমার ভাইয়ের ছেলের জন্ম সনদ করতে বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেলে সাথে সাথে জন্ম সনদ করে দিয়েছে।
আব্দুল আজিজ নামে একজন অভিভাবক বলেন,প্রায় ১৫দিন হয়ে গেলো ছেলের জন্ম সনদের জন্য আবেদন করেছি এখনো পাইনি।অফিসে এসো জন্ম সনদ বিভাগের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনকে বললে ওনি বলেন আমার কাজ কমপ্লিট।এখন পৌর প্রশাসক অনুমোদন দিলেই পাবেন।
ফাতেমা আক্তার নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন,আমার জন্ম সনদ সংশোধনের জন্য আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত সংশোধিত জন্ম সনদ হাতে পাইনি। এটি স্কুলে জরুরিভাবে জমা দিতে হবে অন্যথায় আমাকে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
সুজন মিয়া নামে একজন অভিভাবক বলেন,আমরা বর্তমানে সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছি না।উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি লাবনী আক্তার তারানা বর্তমানে কটিয়াদী পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।ওনি যদি জন্ম সনদ বিভাগে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করতে পারে তাহলে অন্য আরেকজন অফিসার দায়িত্ব দেওয়া হোক।ওনারা আমাদের আর কত হয়রানি করবে?
এ বিষয়ে কটিয়াদী পৌর কার্যালয়ে জন্ম সনদ বিভাগে কর্মরত জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন,আমার কাছে নাগরিকরা আবেদনপত্র জমা দিলে সাথে সাথে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে আবেদন গ্রহণ করে অনুমোদনের জন্য পৌর প্রশাসক লাবনী আক্তারের কাছে অনলাইনে পাটিয়ে দেয়।এখন উনি যদি অনুমোদন করতে দেরি করে এখানে আমার কি করার আছে।
এ বিষয়ে কটিয়াদী পৌর প্রশাসক লাবনী আক্তার তারানা বলেন,জন্ম সনদের আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ১৫-২০দিন সময় লাগে। সময় হলে সবাই জন্ম সনদ পাবে। এর আগে আমি জন্ম সনদ দিতে পারবো না।