ভোরের দূত ডেস্ক: বাংলাদেশে বেকার তরুণ-তরুণীরা চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল। তারা মনে করেন, পরিচিতদের মাধ্যমে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, চাকরির জন্য আত্মীয় বা বন্ধুর মাধ্যমে অনুরোধ করেছেন প্রায় ৩৬ শতাংশ চাকরিপ্রত্যাশী। অর্থাৎ প্রতি একজন বেকারের মধ্যে একজনই প্রথমে পরিচিতদের মাধ্যমে চাকরির চেষ্টা করেন।
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন দেখে চাকরি খোঁজার হার প্রায় ২৬ শতাংশ। সরাসরি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাকরি খোঁজার হার ১২ শতাংশ। এছাড়া সরাসরি সাক্ষাৎকার, প্রফেশনাল নেটওয়ার্কে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়া, সরকারি বা বেসরকারি কর্মসংস্থান কেন্দ্রে নিবন্ধন, ব্যবসা শুরু বা লাইসেন্সের জন্য সহায়তা চাওয়ার মতো উপায়েও চাকরির চেষ্টা করা হয়।
বিবিএসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “বেকাররা যেকোনোভাবে চাকরি বা কাজ পাওয়ার চেষ্টা করেন। প্রথমেই তারা আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুদের কাছে যান, কারণ মনে করেন তারা সহায়তা করতে পারবেন। চাকরির জন্য আত্মীয়স্বজনের কাছে অনুরোধ করার এই প্রবণতা দেশের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য।”
২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ২৪ হাজার। বিভাগের ভিত্তিতে বেকারের সংখ্যা নিম্নরূপ: ঢাকা বিভাগের ৬ লাখ ৮৭ হাজার, চট্টগ্রামে ৫ লাখ ৮৪ হাজার, রাজশাহীতে ৩ লাখ ৫৭ হাজার, খুলনায় ৩ লাখ ৩১ হাজার, সিলেটে ২ লাখ ১৬ হাজার, রংপুরে ২ লাখ ৬ হাজার, বরিশালে ১ লাখ ৩৯ হাজার এবং ময়মনসিংহে ১ লাখ ৪ হাজার।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) অনুযায়ী, যিনি সপ্তাহে অন্তত এক ঘণ্টা কাজ করে মজুরি পান, তাকে বেকার ধরা হয় না। তবে বাংলাদেশের বাস্তবতায় সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করেও জীবনযাপন সম্ভব নয়। তাই পর্যাপ্ত কাজ না পাওয়া ব্যক্তিদের ছদ্মবেকার হিসেবে ধরা হয়। এই সংখ্যা দেশে প্রায় এক কোটি।