মো. বদরুল আলম, সখীপুর(টাঙ্গাইল): লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যান দানবীর সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেলের উদ্যোগে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কচুয়া–আড়াইপাড়া সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। আজ রবিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে খানাখন্দে ভরা প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কার্যক্রম চলছে।
বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। ভারী যানবাহনসহ হাজারো গাড়ি প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষকসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।
এ অবস্থায় কচুয়া থেকে আড়াইপাড়া বাজারে যেতে প্রায় ছয় কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এটি যেন এক অনন্ত দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সড়কের দুরবস্থার চিত্র প্রকাশ পেলে বিষয়টি লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেলের নজরে আসে। পরে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বজলুর রহমান বিজয় বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সড়কের দুরবস্থার বিষয়টি ভাইরাল হওয়ার পর রাসেল সাহেবের নজরে আসে। তাঁর উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার হওয়ায় শিক্ষার্থীসহ সকলের চলাচল সহজ হবে।
কালিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, এ রাস্তায় একবার যাতায়াত করলে ময়লা পানিতে ভিজে যেত কাপড়চোপড়। এখন রাস্তাটি সংস্কার হওয়ায় এলাকাবাসী খুব খুশি।
এদিকে একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হলেও কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ উদাসীন ছিল। চোখ থাকতেও তারা অন্ধের মতো আচরণ করেছে। বহুবার অভিযোগ দিয়েও কোনো কাজ হয়নি। অবশেষে একজন শিল্পপতির ব্যক্তিগত উদ্যোগেই আমাদের দুর্ভোগ দূর হচ্ছে।
লাবীব গ্রুপের চেয়ারম্যান দানবীর সালাউদ্দিন আলমগীর রাসেল বলেন, কচুয়া–আড়াইপাড়া সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে জনদুর্ভোগের কারণ ছিল। ঐ এলাকার মানুষের সেই কষ্ট আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। তাই ব্যক্তিগত উদ্যোগে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। সমাজের মানুষের প্রতি দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা থেকেই মূলত কাজটি করছি।
তিনি বলেন, লক্ষ্য একটাই -সখীপুরের মানুষ যেন নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন। সুন্দর, নিরাপদ ও উন্নত সখীপুর গড়তে শুধু আমার একার চেষ্টা যথেষ্ট নয়। সবাইকে সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসতে হবে। পজিটিভ মানসিকতা নিয়ে এক হলে কোনো কাজই কঠিন নয়।