আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজার দিকে ত্রাণ বহনকারী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪৪টি নৌযানের মধ্যে মাত্র চারটি নৌযান এখনও গাজার দিকে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে, বাকি ৪০টি নৌযান ইসরাইলি বাহিনী আটক করেছে বলে জানিয়েছে ফ্লোটিলা ট্র্যাকার।
এ তথ্যটি বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে উঠে আসে, যেখানে বলা হয় যে, ফ্লোটিলার নৌযানগুলোর অধিকাংশকে আটক করার পর, পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের মধ্যে পড়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি, তবে আটককৃত নৌযানগুলোর আরোহীদের নিরাপত্তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
আয়োজকরা ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে “আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন” এবং “শান্তিপূর্ণ মানবিক মিশনের ওপর হামলা” হিসেবে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সংগঠন জানায়, তারা গাজার মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে চেয়েছিল, কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার মুখে তা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো বিস্তারিত বিবৃতি দেওয়া হয়নি। অতীতে ইসরায়েল গাজাগামী বিভিন্ন ত্রাণবহর আটক করেছে এবং তাদের দাবি, গাজায় অস্ত্র প্রবেশ ঠেকাতে এ ধরনের অবরোধ জরুরি। তবে আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
এ ঘটনার পর আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছে। আয়োজকরা তাদের শেষ চারটি নৌযানের গন্তব্য এবং আরোহীদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।