পাথরঘাটায় মাছ শিকারে গিয়ে নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার

সারাদেশ

মোঃ মহিবুল, পাথরঘাটা(বরগুনা): বরগুনার পাথরঘাটা সংলগ্ন বলেশ্বর নদীতে মাছ শিকারে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর সিদ্দিকুর রহমান (৩০) নামে এক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিহঙ্গদ্বীপের উত্তর পাশের ধানসীর মধ্য থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের বড়টেংড়া হাজিরখাল এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন।সিদ্দিকুর রহমান মরহুম আব্দুল মান্নানের ছেলে।

সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী মনিরা আক্তার জানান, প্রতিদিনের মতো ওই দিন রাতেও মাছ ধরতে নদীতে গিয়েছিলেন তার স্বামী। ভোরে ফিরে না আসায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।

পরে নদীতে খোঁজাখুঁজি করে তার নৌকা পাওয়া গেলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার দুপুরে গরুর খাবারের জন্য ধানসী কাটতে গিয়ে কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি নদীর তীরে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয় জেলে রুবেল লাশ শনাক্ত করে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা গিয়ে উদ্ধার করে।

তিনি আরো জানান, সিদ্দিক ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তার ৯ ও ২ বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তান এবং ছোট দুই ভাই রয়েছে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ‘দুই দিন ধরে নদীতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। উত্তাল নদীর কারণে হয়তো ট্রলারটি ডুবে গেছে। আমরা পরিবারটির পাশে থাকার চেষ্টা করছি।

পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত স্টেশন লিডার মো: শাহাদাত হোসেন জানান, ‘নিখোঁজের সংবাদ পাওয়ার পরই উদ্ধার অভিযান শুরু করি। তিন দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেলেদের জন্য আমাদের সহায়তা সব সময়ই থাকে।

ইতোমধ্যে পরিবারটিকে প্রাথমিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত মৃত্যু কি না, তা ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, তাদের মাধ্যমে পরিবারকে সহায়তা দেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, সাত বছর আগে একই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন তার বাবা আব্দুল মান্নান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *