ভোরের দূত ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অনেক মানুষই তাকে ৫ বছর, ১০ বছর, এমনকি ৫০ বছর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার কথা বলছেন এবং প্রশ্ন তুলছেন—”নির্বাচনের কি দরকার?”
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জিটিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে সাংবাদিক মেহদি হাসান প্রধান উপদেষ্টাকে প্রশ্ন করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিলেও বাংলাদেশে কেন ১৮ মাস সময় লাগছে? এই প্রশ্নের জবাবেই ড. ইউনূস মানুষের এই ধরনের আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকারে তিনি জাতীয় নির্বাচন দেরিতে হওয়ার যৌক্তিকতা, রোহিঙ্গা সংকট এবং আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করা সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্ট করেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি বা তাদের রেজিস্ট্রেশনও স্থগিত করা হয়নি। তিনি বলেন, শুধুমাত্র তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ফলে তারা একটি দল হিসেবে বৈধ থাকলেও, কিছু সময়ের জন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে পারছে না। তবে যেকোনো সময় তাদের এই কার্যক্রম সচল করা যেতে পারে।
২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। তিনি জানান, সে সময় তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে এই দায়িত্ব মেনে নিয়েছিলেন।