তজুমদ্দিনে কবির হত্যা মামলার দুই মাসেও বিচার না পেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আকুতি

সারাদেশ

ভোরের দূত ডেস্ক: ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ডের নজুমদ্দিন রাড়ি বাড়ির মৃত আ. মালেকের বড় ছেলে বাকপ্রতিবন্ধী কবির হত্যার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো ন্যায়বিচার পায়নি পরিবার। স্বজনদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রভাব ও টাকার জোরে মামলা ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা চলছে। এ অবস্থায় তারা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

গত ২৯ জুলাই বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন কবির। নিখোঁজের তিনদিন পর পহেলা আগস্ট সকালে বাড়ির সামনের পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন তজুমদ্দিন থানা পুলিশ।

নিহতের ছোট ভাই মো. কামরুল অভিযোগ করেন, তিনি নিখোঁজের পরে তজুমদ্দিন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি। এবং লাশ উদ্ধারের পর সন্দেহভাজন তিনজনকে থানায় নিলেও পরবর্তীতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

তাই ২ আগস্ট নিহতের ভাই কামরুল বাদী হয়ে নিখোঁজের আগের দিন অস্ত্র দেখিয়ে  হুমকি দেওয়া তিনজনকে সন্দেহমান আসামি করে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।

তজুমদ্দিন থানায় হত্যা মামলা না নেওয়ার কারণে ৫ আগস্ট নিহতের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে ভোলা আদালতে রাসেল, রতন, রিয়াজ, খালেক ও আলাউদ্দিনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাটি নিয়ে এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের হাজারো মানুষ হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে ৮-ই আগস্ট মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন

আট মাস বয়সী কনিষ্ঠ পুত্র আরিয়ান সহ পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি বাক প্রতিবন্ধী কবির ছিলেন চার সন্তানের জনক

স্ত্রী সুমা আক্তার, ছোট বোন সুরমা এবং তার মা রোকেয়া বেগম প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূস এর কাছে হত্যার

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *