মো: মুনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে:
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের যানজট নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে দীর্ঘ হয় এই যানজট।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে সরাইলের শাহবাজপুর পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দীর্ঘ যানজট এর ফলে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
সড়ক ও জনপথ, জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এই প্রকল্পের অর্থায়ন করছে ভারতীয় সরকার ৭৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সরকার ২৫ শতাংশ। প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর থেকেই গত ৭ থেকে ৮ বছর ধরে ধীরগতিতে কাজটি চলে আসছিল। ২০২৪ সালে অভ্যুত্থানের পর ভারতীয় ঠিকাদারি কোম্পানির লোকজন নিজ দেশে চলে যায়। ফলে ৩ থেকে ৪ মাস কাজটি বন্ধ ছিল। পরবর্তীসময় কিছু লোকজন ফিরে এলেও কাজে গতি ফেরেনি।
সূত্রে আরও জানা গেছে, মহাসড়কের এক পাশের কাজ প্রায় শেষ হলেও বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে এসব গর্তে সংস্কার করা হয়। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব অংশ থেকে মাটি সরে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টি হওয়ায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। রবিবার সকাল পর্যন্ত এই যানজট চলমান।
এ বিষয়ে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম নিউজ টাইম ২৪ কে বলেন, যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বৃষ্টি হলেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। শনিবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় আবারও যানজট লেগেছে। স্থায়ী সমাধান না হলে যানজট বাড়বে। এখন যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। আমরা কাজ করে যাচ্ছি।