ঘটকের অত্যাচারে ভালো ছেলে-মেয়েদের জীবন নষ্ট হচ্ছে

সারাদেশ

ভোরের দূত ডেস্ক: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটকের অত্যাচারে ভালো ছেলে-মেয়েদের জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটকেরা টাকার লোভে এবং নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে বিভিন্ন মিথ্যা কথা বলে, এমনকি ছেলেমেয়েদের জীবনের ভবিষ্যতকে বাজি হিসেবে রেখে তাঁদের বিয়ে দেয়। এদের কর্মকাণ্ডে অনেকেই প্রলুব্ধ হয়ে পড়েন, এবং পরে যখন মেনে চলা যায় না, তখন ডিভোর্স বা নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে।

একটি বিশেষ অঞ্চল গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে আঃ খালেক নামক এক ঘটক মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু পরিবারকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। এই ঘটক বিভিন্নভাবে ছেলে-মেয়েদের অভিভাবকদের ভুল বুঝিয়ে এবং প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করিয়ে নেন, যাতে তার নিজস্ব লাভ হয়। কিন্তু পরবর্তীতে, যখন বনিবনা না হওয়া এবং অশান্তির মুখে পড়ে, তখন এদের হাতে জীবনের স্বপ্ন তছনছ হয়ে যায়।

একজন ভুক্তভোগী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, কিন্তু ঘটকের কথায় ভুল পথে চলে গেছি। অনেক বড় স্বপ্ন ছিল আমার, কিন্তু এখন সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে।”

এধরনের ঘটনা আরও বাড়ছে, কারণ কিছু ঘটক টাকার জন্য আত্মবিশ্বাসের সাথে ছেলেমেয়েদের জীবনে এধরনের বিয়ে দিয়ে থাকে। যখন বিয়ে হওয়া পরিবারের মধ্যে বনিবনা বা সম্পর্কের অমিল দেখা দেয়, তখন অশান্তি, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শিকার হওয়া সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরনের সমস্যা কেবলমাত্র পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি করে না, বরং সমাজের জন্যও এক বিরাট বিপদ হয়ে দাঁড়ায়।

এছাড়া, যখন ঘটকরা নানা রকম মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সম্পত্তি বা টাকা নিয়ে চলে যান, তখন পরিবারে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক দুঃখও বাড়ে। এক পেশাদার ঘটককে লক্ষ্য করে এক অভিভাবক বলেন, “সে আমাদের স্বপ্নের সঙ্গে খেলেছে। আমার মেয়ের জীবন এখন এক বিশাল গর্তে পড়ে গেছে।”

এটি শুধু একটি ঘটনা নয়, বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই ঘটকের এই ধরনের অপতৎপরতা দিন দিন বাড়ছে। সমাজে এসব ঘটকদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং এদের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। একটি দেশ যখন শান্তি ও মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়, তখন এসব ঘটনাকে প্রতিরোধ করা অবশ্যই প্রয়োজন।

এতদূর ভাবনায় এবং সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে এসব ঘটকের কার্যক্রম প্রতিরোধ করা সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *