সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমির বিরুদ্ধে দুই অভিযোগ গঠন

আন্তর্জাতিক

ভোরের দূত ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কোমির বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ গঠন করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনার লক্ষ্যবস্তু হওয়ার পরই কোমির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হলো।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোমির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো হলো:

১. কংগ্রেসে মিথ্যা তথ্য দেওয়া। ২. একটি নির্দিষ্ট তদন্তে বাধা দেওয়া।

অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। এখন বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে কোমির ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই প্রকাশ্যে কোমির বিরুদ্ধে বিচার বিভাগকে মামলা করার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। এই আহ্বানের পরপরই ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি কোমিকে অভিযুক্ত করল।

জেমস কোমি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “আমি নির্দোষ। এর বিচার হোক, সত্য প্রকাশ পাক।” তিনি আরও বলেন, “ভয়ের কাছে মাথা নত করব না, এবং আপনারাও করবেন না।”

২০২০ সালে সিনেটে শুনানিতে কোমি বলেছিলেন যে তিনি এফবিআইয়ের তদন্ত সংক্রান্ত কোনো তথ্য ফাঁসের অনুমতি দেননি। কিন্তু তদন্তকারীরা পরবর্তীতে দাবি করেন, সাংবাদিকের সঙ্গে তথ্য শেয়ার করতে কোমি একজন কর্মকর্তাকে অনুমতি দিয়েছিলেন, যা তাঁর পূর্বের সাক্ষ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

এই অভিযোগ দায়েরের ঘটনায় বিচার বিভাগের অভ্যন্তরেও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে:

অভিযোগপত্রটি সাক্ষর করেছেন লিন্ডসে হ্যালিগান, যিনি সম্প্রতি ট্রাম্পের পছন্দেই বিচার বিভাগের দায়িত্বে এসেছেন।

অভিযোগ দায়েরের পরপরই বিচার বিভাগের একজন সিনিয়র প্রসিকিউটর এবং কোমির জামাতা ট্রয় এডওয়ার্ডস পদত্যাগ করেন। তিনি সংবিধান ও দেশের প্রতি তাঁর শপথ রক্ষার কথা উল্লেখ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে অভিজ্ঞ প্রসিকিউটররা আপত্তি তুলে বলেছেন, এই অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তবে গ্র্যান্ড জুরি মনে করেছে, অভিযোগ আনার মতো যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অভিযোগগুলো আদালতে প্রমাণ করা কঠিন হতে পারে। এটিকে প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে আইন ব্যবহারের নজির হিসেবে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *