ভোরের দূত ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই অভিযোগ করেন এবং এর কারণ হিসেবে সাবেক ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে যোগদান ও বর্তমান ক্রিকেট কর্তাদের আচরণকে দায়ী করেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, “এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে, বিসিবি নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে।” তিনি উদাহরণ হিসেবে সাবেক দুই তারকা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মর্তুজার খেলায়াড় থাকা অবস্থায় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া এবং সংসদ সদস্য হওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন। তাঁর মতে, ভক্তদের দিক থেকে এটি একটি জোরালো চাওয়া যে, খেলাধুলাকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “একটি রাজনৈতিক দলের একজন সাবেক এমপি এবং সাবেক বিসিবি প্রেসিডেন্ট সরাসরি বলেছেন যে, তামিম ইকবাল আমাদের একজন প্রার্থী। এটা তো জাতীয় নির্বাচন নয়, এখানে তো নমিনেশন… ওনারা যেন সংবাদ সম্মেলন করে নমিনেশন দিচ্ছেন তামিম ইকবাল ভাইকে। তো এটা একটু শঙ্কার বিষয়, আমার জায়গা থেকে, পলিসির জায়গা থেকে।”
তিনি বলেন, এশিয়া কাপে লিটনদের পারফরম্যান্স মূল্যায়নের পরিবর্তে ক্রিকেট কর্তারা এখন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাঁদা ছোড়াছুড়িতে ব্যস্ত।
বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পাঠানো চিঠি নিয়ে তৈরি হওয়া আইনি জটিলতা এবং তামিম ইকবালের মন্তব্যের (নোংরামি-স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার) বিষয়েও আসিফ মাহমুদ জবাব দেন।
তিনি বলেন: “কোর্ট তো বিসিবি সভাপতির চিঠিকে বৈধ বলেই নির্দেশনা দিয়েছে।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আমাদের রুটিন কাজকে হস্তক্ষেপ বললে, আমার একজন আন্ডার কমান্ড, তার সঙ্গে আমি বা আমার মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি বা কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যোগাযোগ করতে পারবে না এটা কোন কনস্টিটিউশনে লেখা আছে?”
তিনি অভিযোগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান, “এ ধরনের হাস্যকর অভিযোগ নিয়ে এসে, নিজেদের হাসির পাত্রতে পরিণত করা উচিত নয়। আপনার যদি মনে হয়, কোনো কিছু নিয়মতান্ত্রীকভাবে হচ্ছে না, তাহলে কোর্টে তো আপনারা গিয়েছেন, চাইলে আইসিসির কাছে যেতে পারেন। দেশে তো এখন আইনের শাসন আছে।”
তিনি বিরোধী মনোভাবাপন্নদের বলেন, “আপনি তো বলতেছেন, আমি ঘেরাও দেব, আমি দখল করবো—এগুলো ডেমোক্রেটিক স্পিরিট নয়।”