রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। পোষ্য কোটা পুনর্বহালকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার পর থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। লাগাতার শাটডাউনের কারণে ক্যাম্পাস কার্যত অচল হয়ে পড়েছে, ফলে অনেক শিক্ষার্থী বাড়ি ফিরে গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেশিরভাগ ভবনে তালা ঝুলতে দেখা যায়। এদিন সকাল ৯টা থেকে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে কর্মকর্তাদেরকে বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে অবস্থান করতে দেখা যায়।
এদিন সকালে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সকাল ৯টার দিকে লাইব্রেরি বন্ধ পেয়ে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী লাইব্রেরির ফটকে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করেন। তারা অভিযোগ করেন, পড়াশোনা ও চাকরির প্রস্তুতির জন্য লাইব্রেরি অপরিহার্য। আগে কোনো আন্দোলনে এটি বন্ধ রাখা হয়নি। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে কিছু সময়ের মধ্যেই কর্তৃপক্ষ গ্রন্থাগার খুলে দেয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাকসু নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাস ছিল উৎসবমুখর। প্রার্থীরা ব্যস্ত ছিলেন নানা ধরনের প্রচারণায়। তবে সেদিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাতিল হওয়া পোষ্য কোটা শর্তসাপেক্ষে পুনর্বহাল করে। এর পর থেকেই শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। গত শনিবার জুবেরী ভবনে আন্দোলনের এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের হাতাহাতি হয়। এরপর রোববার শিক্ষক-কর্মকর্তারা লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিবাদে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন এবং পরদিন থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যান।
এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে রাকসু নির্বাচন কমিশন জরুরি সভা করে ভোটগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে দেয়। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ১৬ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।