নাজমুল হুদা, চরফ্যাশন: চরফ্যাশন শহর থেকে গ্রাম—সবখানেই দিন দিন অযত্নে বেড়ে চলেছে পথকুকুরের সংখ্যা। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও নির্বীজন কর্মসূচির ঘাটতির কারণে বর্তমানে দেশে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেমন বাড়ছে, তেমনি জনস্বাস্থ্যেও ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ কুকুরের কামড়ের শিকার হচ্ছেন। শুধু শহরাঞ্চলেই নয়, গ্রামেও কুকুরের দাপটে শিশু ও বয়স্করা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। অনেক সময় পথচারী, ভোরে হাঁটতে বের হওয়া মানুষ কিংবা স্কুলগামী শিশুদের উপর দলবেঁধে আক্রমণ করে পথকুকুর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বীজন কার্যক্রম ও সচেতনতা বৃদ্ধি না হলে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করা না গেলে জলাতঙ্কের ঝুঁকিও বহুগুণ বাড়বে।
পশু চিকিৎসকরা মনে করেন, হঠাৎ কুকুর নিধন করলে সমস্যা কমবে না, বরং নিয়ন্ত্রিত নির্বীজন ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে কুকুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ অভিযোগ করছেন—সরকারি উদ্যোগের অভাব ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই কুকুরের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারে এবং একইসঙ্গে প্রাণীদের প্রতিও মানবিক আচরণ বজায় থাকে।