ভোরের দূত ডেস্ক: কক্সবাজারের টেকনাফে গহীন পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা নারী ও শিশুসহ ৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মানবপাচারকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে তিন মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে টেকনাফ-২ বিজিবির ব্যাটালিয়নে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান এবং কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান।
লে. কর্নেল কামরুল হাসান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে র্যাব ও বিজিবি সদস্যরা টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়া পাহাড়ি এলাকায় অভিযান শুরু করেন। অভিযানে প্রথমে এক পাচারকারীকে আটক এবং চারজনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পাহাড়ের তিনটি ভিন্ন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে মোট ৮৪ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১৮ জন বাংলাদেশি এবং ৬৬ জন রোহিঙ্গা।
তিনি আরও বলেন, ১২ ঘণ্টার এই অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার গান ও একটি একনলা বন্দুকসহ মোট তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, ২টি রামদা ও একটি চাকুও জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আশিকুর রহমান বলেন, টেকনাফে বেশ কয়েকটি মানবপাচারকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব চক্রের মূল হোতা হিসেবে হোসেন, সাইফুল ও নিজাম নামের তিন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের অধীনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ক্যাম্পের বাসিন্দাসহ দালালদের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক কাজ করে। এই চক্রগুলো মিয়ানমার হয়ে সমুদ্রপথে নারী ও শিশুসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা করে। তিনি বলেন, মূল হোতাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
আটককৃত মানবপাচারকারীরা হলেন: আব্দুল্লাহ (২১), টেকনাফের বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা, সাইফুল ইসলাম (২০), একই এলাকার বাসিন্দা, মো. ইব্রাহিম (২০), একই এলাকার বাসিন্দা।