ভোরের দূত ডেস্ক: চাঁদপুর পৌরশহরে জীবিত এক নবজাতককে মৃত ভেবে কবরস্থানে পাঠানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী ফারুক গাজীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক স্বীকার করেন, ক্লিনিকের এক নার্স তাকে নবজাতকটিকে মৃত বলে কোথাও ফেলে আসার নির্দেশ দেন এবং এজন্য তাকে ৫০০ টাকা দেয়া হয়। তবে ফারুক শিশুটিকে ফেলে না দিয়ে কবরস্থানে নিয়ে যান। সেখানে দাফনের জন্য স্থানীয় লোকজনকে ২০০ টাকা দিয়ে বাকি ৩০০ টাকা নিজের কাছে রাখেন।
এর আগে গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে কার্টনে নবজাতকটিকে আনা হয়। দাফনের আগে দায়িত্বে থাকা ফারুক মিয়া শিশুটির কানে আজান দিলে হঠাৎ শিশুটি কান্না শুরু করে। এ সময় সঙ্গে আসা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নবজাতকটিকে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ ঘণ্টা পর শিশুটি মারা যায় এবং রাতেই তাকে কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চাঁদপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মজিবুর রহমান জানান, কবরস্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোন নার্স এ নির্দেশ দিয়েছিল এবং নবজাতকটির মা কে—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, ঘটনার ২ দিনের মধ্যেই নবজাতক জন্ম নেওয়া ক্লিনিক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে ডিবি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।