তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: মহিপুরে দাঁতের ডাক্তার সেজে চোখের রোগীর সঙ্গে প্রতারণা চালানো হারুন অর রশীদকে ভ্রাম্যমাণ আদালত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আটক করেছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহিপুর সদরের এশিয়া ডেন্টাল সেবা কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০-এর ২৯ ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের তথ্যমতে, গত ছয় বছর ধরে হারুন অর রশীদ সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা চালাচ্ছিলেন। দাঁতের ডাক্তার না হয়েও তিনি রোগীদের দেখতেন এবং ৩–৫ শত টাকা ভিজিট চার্জ নিতেন। আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় হলো, তিনি তার ভাই আব্দুল হাকিমের ব্যবস্থাপত্র ব্যবহার করে চোখের চিকিৎসা করতেন।
কলাপাড়া উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন সাদিক জানান, “দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালানো ভুয়া ডাক্তারকে আইন অনুযায়ী দণ্ডিত করা হয়েছে।”
ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) ইয়াসিন সাদিক আরও জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে সব ভুয়া ডিগ্রিধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন, কলাপাড়া উপজেলায় অনেক ডায়গনস্টিক ল্যাব রয়েছে যেগুলোর ডিআইজি (DIG) টেস্টের অনুমোদন নেই। অচিরেই এসব প্রতিষ্ঠানকেও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আওতায় আনা হবে।
মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অনিমেষ হালদার জানিয়েছেন, রায় ঘোষণার পর তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর চার বছরের শিশু আদনানের চিকিৎসার সময় পরিবারের সঙ্গে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল, যেটিই এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আনার সূত্রপাত হয়।