ছাত্রদল নেতা ফারহান আরিফের চোখে বাংলাদেশ

জাতীয়

ভোরের দূত ড্রেস্ক: রাজনীতিতে এই মূহুর্তে অনেক বড় একটা স্পেস ফাঁকা পড়ে আছে। বাংলাদেশের দরকার বাংলাদেশপন্থী রাজনীতি। এই রাজনীতিতে র‍্যাডিকালিজমের অবস্থান থাকবে না। ফার রাইট বা ফার লেফটের মাঝামাঝি অবস্থান থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি কনডাক্ট করতে হবে। এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক গোলমেলে সিচুয়েশনে সেন্ট্রিস্ট ধারার রাজনীতিই কেবল রক্ষাকবচ হতে পারে। রাষ্ট্রগঠনে ইডিওলজিক্যাল অবস্থানের আবেদন ফুরিয়ে গিয়েছে। ইডিওলজি মানুষ এবং সমাজের মাঝে থাকবে। আর রাষ্ট্র গঠিত হবে ভ্যালু এর ভিত্তিতে। নাগরিক মূল্যবোধকে সম্মান জানিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র ফাংশন করবে। এই ধারার রাজনীতিই বাংলাদেশকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করবে।

এনসিপি এবং মাহফুজ আলমের আজকের অবস্থানটা এই প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির এই ফাঁকা স্পেসটাতে বিএনপির সাথে প্রতিযোগিতামূলক রাজনৈতিক চর্চা এনসিপিকে শক্তিশালী ফোর্স হিসেবে গড়ে উঠতে হেল্প করবে। মাহফুজ এনসিপিকে মওদুদিপন্থার প্রক্সি হতে নিরুৎসাহিত করেছেন। এটা একটা বোল্ড মুভ। অভ্যুত্থানের পরবর্তী রাজনীতিতে এনসিপি জেনে হোক বা না জেনে হোক মওদুদিপন্থার প্রক্সি হিসেবে কাজ করে গিয়েছে। আরও প্রেসাইজ করে বললে, ব্যবহৃত হয়েছে। এর ফলাফল এনসিপি ভোগ করছে। এক ডাকসু নির্বাচনই এর স্পষ্ট উদাহরণ। এনসিপির ভাবাদর্শিক ছাত্র সংগঠন বাগছাসের ভেতরকার বিদ্রোহ, বিভক্তি এবং হতাশাজনক পারফরম্যান্স নিশ্চয়ই তাদেরকে ভাবতে বাধ্য করেছে। এটারই রিফ্লেকশন সম্ভবত দলটির আজকের স্টেটমেন্ট। এনসিপি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছে, যুগপৎ নামক কাঁঠালটি তাদের মাথায় রেখে খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছে জাশি ও তাদের অন্যান্য প্রক্সিরা। তাই এ ফাঁদে পা না দেয়ার স্পষ্ট ঘোষণা তাদের রাজনীতির জন্য ইতিবাচক।

দলীয় আদর্শের চোখে রাষ্ট্রপরিকল্পনাকারী শক্তিগুলোকে না বলে একটি নাগরিক মূল্যবোধের রাষ্ট্র গঠন করার অঙ্গীকারে এনসিপিকে স্বাগত জানাই। যদিও এই পথ বন্ধুর; কিন্তু হাঁটতে হবে। বিএনপি এই পথে চলতে চলতেই এ পর্যন্ত এসেছে। অনেক লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে শাণিত করেছে। আমরা চাই, কেবল বাংলাদেশপন্থী শক্তিগুলোর মাঝে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *