মশিউর রহমান নাদিম, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: পদ স্থগিত হওয়া বিএনপি নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফজলুর রহমান বলেছেন, “আমাকে পাগল উপাধি দিয়ে রাজাকাররা বাঁচতে চায়। কিন্তু আমি মুক্তিযুদ্ধের বাইরে কোনোদিন কোনো কাজ করব না।
বুধবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের মিঠামইন বাজার শেডে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত গণসংবর্ধনা সভায় সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফজলুর রহমান বলেন, যখন দেখি মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করা হচ্ছে, তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি ছাড়ব না। যুক্তিতে না পেরে আমাকে পাগল বলা হচ্ছে। কিন্তু জীবন-মৃত্যু যাই হোক, কোনো রাজাকার বা আলবদরের বংশধর মুক্তিযুদ্ধকে এ দেশ থেকে মুছে ফেলতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামের মানুষ আমার আপনজন। জীবনে-মরণে আমি আপনাদের সঙ্গেই থাকব। মৃত্যুর পরও আমার দাফন এই হাওরাঞ্চলেই হবে।
সভাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ নৌকা ও সড়কপথে মিছিল নিয়ে যোগ দেন। ‘ফজলুর রহমান’ স্লোগানে মুখরিত হয় সমাবেশ এলাকা। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নিজ উপজেলা মিঠামইনে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এই মুক্তিযোদ্ধা আবারও হাজারো জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইব্রাহিম। বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ ভূঁইয়া, ফজলুর রহমানের সহধর্মিণী এডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা, তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার অভীক রহমানসহ অনেকে।
সভাপতির বক্তৃতায় মো. ইব্রাহিম বলেন, গত ১৬ বছর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব ছিলেন ফজলুর রহমান। মামলা-হামলার ভয়কে উপেক্ষা করে তিনি মাথা উঁচু করে কথা বলেছেন। মুক্তিযোদ্ধারা সব সময় তাঁর পাশে ছিল, থাকবে।
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক চেয়ে ফজলুর রহমান বলেন, দল আমাকে তিন মাসের শাস্তি দিয়েছে, আমি সেটা মেনেছি। তবে আমি অপরাধী নই। এই নির্বাচন আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। তাই আমি ধানের শীষ প্রতীক চাই।