ভোরের দূত ডেস্ক: ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন প্রশিক্ষণ কাঠামোতে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং বাকি এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত
- উচ্চশিক্ষার বয়সসীমা বৃদ্ধি: কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে।
- পিএইচডি কোর্সে শর্ত: পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের কাছ থেকে অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ থাকবে।
- সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নতুন নাম: ‘সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণ’-এর নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ রাখা হবে। এই প্রশিক্ষণ হালনাগাদ কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে।
- আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রেষণ: আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরও উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।
- নৈতিকতা ও দুর্নীতিবিরোধী প্রশিক্ষণ: কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর মান ও কার্যকারিতা মূল্যায়নের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করে সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পদ্ধতিগত ও স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়েছে।