প্রাথমিকের দেড়শো স্কুলে মিড-ডে মিল ও ১৬ বছর পর বৃত্তি পরীক্ষা চালু হচ্ছে

জাতীয়

বিশেষ প্রতিনিধি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মধ্যে দেশের ১৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালু করা হবে। একই সাথে তিনি ১৬ বছর পর প্রাথমিকে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন।

রবিবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।

মিড-ডে মিল চালুর অগ্রগতি

উপদেষ্টা বলেন, মিড-ডে মিল চালুর প্রক্রিয়া এগিয়েছে এবং খুব শিগগির ১৫০টি উপজেলায় এটি শুরু হবে। তিনি বলেন, বিবিএস-এর নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রকল্পটির ডিপিপি পুনরায় সংশোধন করতে হওয়ায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অক্টোবরের শুরুর দিকেই এটি চালু করা সম্ভব হবে।

মিড-ডে মিলে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিম, মৌসুমি ফল, বিস্কুট, দুধসহ মোট পাঁচ ধরনের খাবার থাকবে।

শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষকদের নিয়ে মন্তব্য

বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বছরে মাত্র ১৮০ দিন প্রাথমিকে ক্লাস হয় এবং শিক্ষকরা অনেক সময় শিক্ষা বহির্ভূত কাজে ব্যস্ত থাকেন, যা গোটা শিক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ কারণে শিক্ষা ক্যালেন্ডারে ছুটির সংখ্যা কমানো হবে বলেও তিনি জানান।

শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনি জটিলতার কারণে ৩২ হাজার শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। এই পদোন্নতি সম্পন্ন হলে অনেক নতুন পদ সৃষ্টি হবে।

বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালুর কারণ

প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা পুনরায় চালুর কারণ ব্যাখ্যা করে উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি স্কুলগুলোতে এই পরীক্ষা চালু থাকায় অভিভাবকদের মধ্যে একটি দাবি এসেছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। তিনি আরও বলেন, ঝরে পড়ার একটি বড় কারণ অর্থনৈতিক দুর্বলতা। বৃত্তির মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া গেলে শিক্ষার্থীরা হাইস্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালু হওয়ার পর বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ বিরতির পর আবারও এটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *