প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে আছেন, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
সহায়তা নিতে গিয়ে হতাহত
গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে আরও ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্তত ১৪৩ জন আহত হয়েছেন। চলতি বছরের মে মাস থেকে এ পর্যন্ত সহায়তা নিতে গিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৮৫ এবং আহত হয়েছেন ১৭ হাজার ৫৭৭ জনের বেশি মানুষ।
দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে মৃত্যু
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টি ও অনাহারে আরও ৬ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন, যাদের মধ্যে একজন শিশু। গত বছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ক্ষুধাজনিত কারণে মোট ৩৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৩৫ জন শিশু।
গত ২ মার্চ থেকে গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এর ফলে গাজার ২৪ লাখ মানুষ ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা জরিপে গাজার উত্তরাঞ্চলে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ নিশ্চিত হয়েছে। সংস্থাটি আশঙ্কা করছে যে চলতি মাসের শেষ নাগাদ এই দুর্ভিক্ষ আরও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়বে।
এছাড়া, গত ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় নতুন করে যে হামলা শুরু করেছে, তাতে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৮২৮ জন নিহত এবং ৫০ হাজার ৩২৬ জন আহত হয়েছেন। এতে জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যত ভেঙে গেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গাজায় যুদ্ধ চালানোর অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) গণহত্যার মামলা চলছে।
জেএইচআর