নাঈম ইকবাল, কুমিল্লা: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বয়স গোপন করে বাল্যবিবাহের আয়োজন করার সময় মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় কনের বাবাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে মেয়ের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী। অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানাজ আক্তার ও চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অপ্রাপ্তবয়স্ক কন্যা উম্মে হাবিবা অহনা (১৫), পিতা মো. অলী উল্লাহর বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কনের বাবা মেয়ের বয়স ১৮ হয়নি বলে স্বীকার করেন। পরে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭’-এর ৮ ধারা মোতাবেক তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
দণ্ডিত অর্থদণ্ড তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়। এ সময় মেয়ের বাবা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বজলুর রহমানের স্বাক্ষরিত মুচলেকায় উল্লেখ করা হয় যে, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়া হবে না এবং তাকে আবার স্কুলে পাঠানো হবে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বাল্যবিবাহসহ সব ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয়দেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।