মতিন গাজী: যশোরের চৌগাছা উপজেলার কুলিয়া গ্রামে বাওড় থেকে এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কঙ্কলটি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ৯ মাস আগে কুলিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) নিখোঁজ হন। দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পরও পরিবারের হাতে তার কোনো সন্ধান মেলেনি। একপর্যায়ে পরিবার তার ফেরার আশা ছেড়ে দেয়।
বুধবার বিকেলে গ্রামের এক ব্যক্তি বাওড়ে ঠেলা জাল ফেলতে গিয়ে পটের নিচ থেকে মানুষের কঙ্কাল দেখতে পান। পরে গ্রামবাসী ছুটে এসে জামাকাপড় দেখে এটিকে নিখোঁজ হওয়া আব্দুর রাজ্জাকের কঙ্কাল বলে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই কঙ্কালটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবারে কঙ্কলটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সোহাগ হোসেন জানান, তার বাবা নিখোঁজ হওয়ার দিন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। কঙ্কালের শরীরে থাকা পোশাক দেখে তারা নিশ্চিত হয়েছেন এটি তার বাবারই কঙ্কাল।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রাজ্জাক কৃষিকাজের পাশাপাশি ভারত থেকে বিভিন্ন মালামাল আনাসহ জন হিসেবে কাজ করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতে যাওয়ার পথে অথবা আসার সময় কেউ তাকে হত্যা করে বাওড়ে ফেলে রাখে। টানা বৃষ্টির কারণে বাওড়ের ধাপ নেমে আসায় বুধবার কঙ্কালটি পানির ওপরে ভেসে ওঠে।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘খবর পেয়ে আমরা কঙ্কাল উদ্ধার করেছি। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য কঙ্কালটি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’